টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাদরাসার এক ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার থানায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে গ্রে*** করেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে তিনদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
ঘাটাইল উপজেলায় গত শুক্রবার (২১ জুন) এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গ্রে***কৃতরা হচ্ছে- দশআনি বকশিয়া গ্রামের সোহরাব তালুকদারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫) এবং আমির আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ ওরফে আলপিন (৪০)।
মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্থানীয় দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মেয়েটি গত ২১ জুন রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের বন্ধু শাওনের সাথে দেখা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ও আব্দুল হামিদ ওই ছাত্রীকে শাওনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ব্যাটারিচালিত ভ্যানে উঠায়। তারা তাকে কৌশলে একই গ্রামের হোসেন আলীর বাড়ির ফাঁকা জায়গায় নিয়ে মুখ বেঁধে ভ্যান গাড়িতেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ছাত্রীর মা জানান, ধর্ষণের কারণে তার মেয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জ***প্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। গ্রামবাসী বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু মীমাংসা হয়নি।
ঘাটাইল থানার ওসি মাকসুদুল আলম নয়া দিগন্তকে বলেন, ওই ছাত্রীর মা আলমগীর হোসেন ও আব্দুল হামিদকে আসামী করে থানায় মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত দুইজনকেই গ্রে*** করা হয়। সোমবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হলে ম্যাজিস্ট্রেট তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।